নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ষ
সরদার বাদশা
নিজস্ব প্রতিনিধি।
মাটি পরিক্ষীত স্থান ব্যতিরেকে ভিন্ন স্থানে স্কুলের একাডেমিক ভবন নির্মাণের পাইলিং শুরু করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে ভবণের স্হায়ীত্ব নিয়ে জনেমনে নানা শংঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক নতুন ভবণ নির্মানে এমন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৮৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দের ৩ কক্ষের ৪তলা ভীতসহ ১তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। যাহা পর্যায় ক্রমে ৪তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট উধর্ধতন কতৃপক্ষ উন্মুক্ত দরপত্রের আহব্বান করেন। সে মোতাবেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুন্না এন্টারপ্রাইজ খুলনা কার্যাদেশ পেয়ে ভবণের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয় চত্ত্বরের উত্তর প্রান্তে ভবন নির্মাণের জন্য উপযুক্ততা যাচাই করতে সয়েল টেস্ট করেন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকৌশ দপ্তর খুলনা। কিন্তু মাটি পরিক্ষিত স্থানকে আড়াল করে প্রায় ৩শ’ ফুট দুরে মাঠের পূর্ব দক্ষিণ প্রান্তে ভবণ নির্মানের জন্য পাইলিং এর কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এর আগে বিদ্যলয় পরিচালনা পর্ষাদের সাবেক অভিভাবক সদস্য শেখ আশরাফ হোসেন,সদস্য আব্দুস সবুর টিআর সদস্য আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, রবিন্দ্রনাথ রায়,মাহবুবুর রহমান ও সভাপতি মোঃ আকবার হোসেন ও অভিভাবকসহ স্থানীয়দের অভিযোগ পুরাতন আধাপাকা ৫টি শ্রেনি কক্ষ অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যাহা গত বছর নভেম্বর মাসে মিয়মিত কমিটির সাধারন সভায় ঝুঁকিপূর্ণ ওই শ্রেনি কক্ষ গুলো পরিতাক্ত ঘোষণা করে অপসারণের সিন্ধান্ত গৃহিত হয়। কিন্তু সে বিষয়টি কোন আমলে নেয়া হয়নি। পরিক্ষিত স্থান পরিবর্তনের কারণে নির্মানাধীন ভবণ ভবিষ্যৎ টেকসই নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে নানা শংঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে কমিটির সদস্য সচিব ও বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক প্রভাত কুমার বৈদ্য জানিয়েছেন,বিদ্যালয় চত্বরে উত্তর প্রন্তে আধাপাকা ৫টি কক্ষ শ্রেনী কক্ষ রয়েছে। কিন্তু কক্ষ গুলো দীর্ঘদিন যাবৎ জরাজীর্ণ ও বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়ে পাঠদান চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে । ওই কক্ষ গুলো অপসারণ করতে একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন দপ্তরে আবেদন করেছেন তিনি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি বলেও জানিয়েছেন । বিধায় পরিক্ষিত জায়গা বাদ রেখে দক্ষিণ পূর্ব প্রন্তে সরিয়ে নিয়ে একই মাঠে ভবণ নির্মানের পাইলিং কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর খুলনার সহকারি প্রকৌশলী গৌতম কুমার মজুমদার বলেন,পরিক্ষিত স্থান পরিবর্তন করার কোন নিয়ম নেই। সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক মানসন্মত ভবণ নির্মানের লক্ষ্যে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে
Leave a Reply